করোনাভাইরাস এবং তারপরে ব্ল্যাক ফাংগাস। এই জোড়া আতঙ্কের মধ্যেই নয়া বিপত্তি ঘটল। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মুর্শিদাবাদের এক মহিলা ইএনটি বিভাগে দেখাতে আসেন। তখনই চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় যে, তিনি ব্ল্যাক ফাংগাস রোগে আক্রান্ত। তখন তাঁকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বিভাগে পাঠানো হয়। তারপরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পলাতক ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত ওই মহিলা। কোথায় পালিয়ে গেলেন? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। নানা শারীরিক উপসর্গ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা। পরীক্ষা করে জানা যায়, ওই মহিলার শরীরে থাবা বসিয়েছে ব্ল্যাক ফাংগাস। সেই কথা জানানো হয় তাঁকে। তখন বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন রোগী। কিছুক্ষণ পর নার্সরা তাঁর খোঁজ নিতে এসে দেখেন নির্দিষ্ট বেডে নেই ওই মহিলা। শুরু হয় খোঁজখবর। গোটা হাসপাতালেই পাওয়া যায়নি তাঁকে। খোঁজাখুঁজি করার পর উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে মেডিকেল ফাঁড়িতে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়। রোগীর খোঁজে পুলিশের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমাদের মেডিক্যাল কলেজ থেকে এক মিউকরমাইকোসিস সংক্রমিত এক মহিলা উধাও হয়েছেন। সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
করোনা রোগীর শরীরেই থাবা বসাচ্ছে ব্ল্যাক ফাংগাস। অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে এই ধরনের ছত্রাক শরীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে। আর তার জেরে আক্রান্তদের চোখের সমস্যা, নাকের সমস্যার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সঠিক সময়ে এই ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ ধরা না পড়লে ভয়ংকর আকার নিতে পারে। হতে পারে প্রাণহানিও। ব্ল্যাক ফাংগাসে সংক্রমিত রোগীর উধাও হওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে চিকিৎসা না করালে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে এবং তার অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন রয়েছে।