মেখলিগঞ্জ, পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার রাত অবধি খোলা থাকল বীরভূমের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। আর উল্লেখযোগ্যভাবে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের ঠিক পরেই রাত অবধি খোলা থাকল এই দফতর। তাহলে কি তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই রাত অবধি ভূমি রাজস্ব দফতার খোলা রাখা হল? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পরেই রাত ২ টো অবধি খোলা থাকে সিউড়িতে অবস্থিত ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। গভীর রাতে কী কাজ চলছিল? যদিও প্রশাসনের তরফে তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে বিরোধীদের সরাসরি অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই ভূমি রাজস্ব দফতর খোলা ছিল। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বীরভূমের সিপিএম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘বীরভূমে অনেক ব্লকেই পাঁচটার পর অফিস চালু হয়। অফিসাররা যদি রাত অবধি কাজ করেন তাহলে তো তাদের সেটা ঘোষণা করতে হবে। রাতে অফিস খোলা আছে মানেই দু নম্বরি কাজ চলছে। বিএলআরও অফিসে জমি জায়গার রেকর্ড বদলের চেষ্টা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী রশ্মি দে বলেন, ‘রাখির ছুটির দিনেও বিএলআরও অফিসের কাজ চলছে। তাহলে বুঝতে হবে এখানে নিশ্চয়ই তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। রাজস্বের কোটি কোটি টাকা তৃণমূল নেতারা এবং বিএলআরও অফিসারদের একাংশ খেয়েছে।’ যদিও একথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিরোধীদের কাজই হল সবসময় বিরোধিতা করা। রাতে কোথায় ভূমি সংস্কার অফিস খোলা আছে তা তাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। ভাবছে এবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতর হয়েছে তাই পঞ্চায়েত বিধানসভা সবই ওরা জয় করে নেবে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না’ বলে তিনি জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে জেলাশাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।