'পরীক্ষা' পিছোতে পরীক্ষাকে হাতিয়ার করল বিজেপি।
এখনও পর্যন্ত পুরভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত না হলেও আগামী এপ্রিলের ভোট হবে ধরে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গেল বিজেপি। ভোটের সম্ভাব্য নির্ঘণ্ট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে নিজেদের আপত্তির কথা জানান মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার।
আরও পড়ুন : দোরগোড়ায় পুরভোট, ঘুঁটি সাজাতে ১ মার্চ শহরে অমিত শাহ
সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানান, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মাঝামাঝি নির্বাচন হলে প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে না। তাই পুরভোটের পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : পুরভোটের আগে টোল ফ্রি নম্বর চালু BJP-র, 'দিদিকে বলো'-র অনুকরণ, কটাক্ষ তৃণমূলের
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, '১৯৯৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের রায় দিয়েছিল, পরীক্ষা ও ভোট যেন একসঙ্গে না হয়। পরীক্ষার্থীরা বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা মানুষ যেন কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন। এটাই আমরা কমিশনকে জানিয়েছি।'
আরও পড়ুন : পুরসভা নির্বাচনের আগে পুনর্বহাল হাওড়ার ৪১৯ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী
যদিও রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মতে, পুরভোটে জোরদার লড়াইয়ের কথা বললেও আদতে যে দলের সংগঠনের অবস্থা যে বেহাল, তা বুঝতে পেরেই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দরবার করছে বিজেপি। যদিও মুকুলের দাবি, তাঁরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, 'ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হলেও আমাদের অসুবিধা নেই। এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত।'
আরও পড়ুন : কালবৈশাখীর সঙ্গেই উঠবে রাজনীতির ঝড়, এপ্রিলেই হতে চলেছে পুরসভা ভোট
তবে বিজেপির সূত্রে খবর, এপ্রিলের মাঝামাঝি ভোট হবে ধরে নিয়েই আপাতত এগনো হচ্ছে। সেজন্য বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি রাখা হচ্ছে।
এদিকে, নাম গোপন রাখার শর্তে তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, 'বাকি কাজ প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ একবার আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গেলে সেগুলি উদ্বোধন করা যাবে না।'