পাশাপাশি দুটি পাড়ায় উদ্ধার ১৫টি পথকুকুরের দেহ। আর তাদের চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে সরস্বতী পুজোর প্রসাদী খিচুড়ি আর শালপাতার থালা। ওই খিচুড়ি খেয়েই বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে পাড়ার কুকুরগুলির, এমনই সন্দেহ বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে হুগলির চণ্ডীতলার পার্শ্ববর্তী দুটি এলাকা মধ্যপাড়া ও পানপাড়ায়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবি, বিশ–মেশানো খিচুড়ি খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওই কুকুরগুলিকে। তাঁরা অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকেই ওই দুই পাড়ায় কুকুরের ডাক শোনা যাচ্ছিল না। এদিন সকাল থেকে কিছু কুকুরকে রাস্তায় পড়ে ধুঁকতে দেখা যায়। আর কিছু কুকুর যে মারা গিয়েছে তা দেখেই বোঝেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেশ কয়েকটি কুকুরছানা–সহ দুই পাড়ার অনেকগুলি কুকুরকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এলাকাবাসী। সেএখানে তাঁদের স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন চণ্ডীতলা ব্লক প্রাণী সম্পদ আধিকারিক লিটন বিশ্বাস। তিনি বলছিলেন, যে পশু চিকিৎসক অসুস্থ কুকুরগুলির চিকিৎসা করেছেন তিনি জানিয়েছেন যে খাবার থেকে বিষক্রিয়ায় কুকুরগুলি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদিকে, কোনও অভিযোগ না পেলেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, অভিযোগ পেলেই আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে। স্থানীয়দের একাংশের ধারণা, অসামাজিক কাজ করতে সমস্যা হওয়ায় কুকুরগুলিকে মেরে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা।