একেবারে হাড়হিম ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেপাগাঁও এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বন্ধ ঘর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। এদিকে বার বার ডেকে ওই দম্পতির কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এরপরই বাসিন্দারা কোনওরকমে ঘরের জানালা খোলেন। এরপর দেখা যায় ঘরের মধ্যে বিছানার উপর পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ। ঘরে বাচ্চাটি কাঁদছে। অন্যদিকে দেখা যায় ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে স্বামীর দেহ।
মৃত দম্পতির নাম নান্টু রায় ও সোমা রায়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন বছর তিনেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের কন্য়াসন্তানও রয়েছে। তাদের মধ্যে ঝগড়াও হত মাঝেমধ্যে। মৃতের দাদা মন্টু রায় বলেন,বাচ্চাটা ঘরে কাঁদছিল। রাত ৯টার সময়তেও দরজা খুলছিল না। এরপরই দেখি এই ঘটনা। রাতে কী হয়েছে জানি না।
সোমার ঠাকুমা বলেন, তিন বছর ধরে ওদের মধ্য়ে অশান্তি। ছেলেটাই গলা টিপে মেরে ফেলেছে। তারপর নিজে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ বিশ্বাস বলেন, ঘরের মধ্যে ফ্য়ানের মধ্যে ঝুলছিল ছেলেটা। পাশে পড়েছিল তার স্ত্রী। ওদের বাচ্চা আছে। পুলিশ দেহদুটি উদ্ধার করেছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কী অশান্তি ছিল বলতে পারব না। কী কারণে তাদের এই পরিণতি বলতে পারব না।
এদিকে পুলিশ দেহদুটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে।