নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মীর মৃত্যুর দিনই মুর্শিদাবাদে মিলল সিপিএম কর্মীর দেহ। সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় মেলে সিপিএমের শাখা সম্পাদক রফিক সাহেবের দেহ। রবিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রফিক সাহেবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কেউ। সারা রাত তাঁর খোঁজ মেলেনি। সকালে ডালখোলার রানিগঞ্জে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় প্রৌঢ়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে।
দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের দাবি, ‘ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে বাম কর্মীদের নিশানা করেছে তৃণমূল। সেই উদ্দেশেই রফিক সাহেবকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুক পুলিশ।’
অভিযোগ খারিজ করে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিনহা জানিয়েছেন. ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত হলেই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হবে।’
গত বছর ১৩ জুলাই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার হয়। সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে। যদিও পুলিশের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন দেবেনবাবু। ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে দায়ের মামলা এখনো কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন।