লোকাল ট্রেনের কামরায় উদ্ধার হল লকডাউনে কর্মহীন যুবকের দেহ

স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে পরিবার চিরঞ্জিতের। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, লকডাউনের পর থেকে ভাড়া বাড়িতে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠেছিল।

প্রতীকি ছবি

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে চলবে লোকাল ট্রেন তা এখনো জানা নেই। প্রায় সাড়ে সাত মাস বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তার জেরেই কাজ হারিয়ে দিশেহারা অবস্থায় কলকাতার আসেপাশের জেলাগুলির লক্ষ লক্ষ মানুষের। জমানো টাকা শেষ, সংসার প্রতিপালনের জন্য টুকিটাকি ব্যবসা করছেন তাঁরা। আর অপেক্ষা, কবে ঘুরবে লোকাল ট্রেনের চাকা। এরই মধ্যে বারুইপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, ট্রেন বন্ধ থাকায় কাজ হারিয়ে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন তিনি। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম চিরঞ্জিত তাঁতি। কলকাতার একটি হোটেলের রাঁধুনি ছিলেন তিনি। লকডাউনের জেরে কাজ চলে যায়। এর পর থেকে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন তিনি। 

স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে পরিবার চিরঞ্জিতের। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, লকডাউনের পর থেকে ভাড়া বাড়িতে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। ফলে ধার করতে শুরু করেন তিনি। এর পর আশ্রয় নেন দাদার বাড়িতে। এই নিয়ে শুক্রবার বচসা হয় তাঁর স্ত্রী ও দাদার সঙ্গে। তখন মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনের কামরায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন যুবক। 

শনিবার সকালে দেহটি দেখতে পেলে রেল পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের দাবি, ধার দেনায় সংসার চালানো মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। তার ওপর মদের নেশা করায় অপত্তি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেজন্য যে এমন কাণ্ড ঘটাবে বুঝিনি।