২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মহানন্দা নদী থেকে শিশুকন্যা ও এক মহিলার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার চাঁচোলের আশাপুরে নদী তীরবর্তী এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চাঁচল থানার পুলিশ। নদী থেকে মহিলার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মহানন্দপুরের রাটট গ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে ভেসে আসতে দেখা যায় একটি শিশু কন্যার দেহ। স্থানীয়রা দেহটি উদ্ধার করে চাঁচল থানায় খবর দেন। তবে সেই মুহূর্তে মৃত শিশুর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চাঁচোলের আশাপুরে মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে উদ্ধার হয় শিশুকন্যার মায়ের মৃতদেহ। এর পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম প্রিয়া পারভিন ( ২৩) ও মৃত শিশুকন্যাটির নাম সেমি পারভিন ( ৩)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ বছর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের গরাহার গ্রামের মহম্মদ সামিউল্লাহ রাজের নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় প্রিয়াদেবীর। বিয়ের পর থেকে পণের জন্য ওই স্ত্রীর ওপর অত্যাচার চালাত তার স্বামী। অত্যাচারের জেরে একমাস আগে ৬ লক্ষ টাকা নাতজামাইকে পণ দেন মৃতার দাদু খলিল মাহমুদ।
মৃতার পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে প্রিয়াকে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচোল ও ইটাহার থানার পুলিশ। ইটাহার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার স্বামী মহম্মদ সামিউল্লাহ রাজ কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মা ও মেয়েকে খুন করে নদীতে ফেলা হয়েছে, না কি মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মা, জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।