কোচবিহারে সক্রিয় তৃণমূলকর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর কথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের।
কোচবিহারে রাজনৈতিক রক্তারক্তি নতুন কিছু নয়। বৃহস্পতিবারও জেলার তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বক্সিরহাট থানা এলাকার রামপুরের বাসিন্দাদের। এদিন সকালে গ্রামের মাঠে খালেক মিয়া নামে এক তৃণমূলকর্মীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। তৃণমূলের দাবি, মৃতের মুখ ছিল বিজেপির পতাকা দিয়ে ঢাকা। দেহে ছিল অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। এর পর মৃতদেহের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ধারালো অস্ত্র। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, খালেক মিয়া তাদের সক্রিয় কর্মী। সেজন্য তাকে খুন করেছে বিজেপি। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে এই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি শাসকদলের। পালটা বিজেপির দাবি, ব্যক্তিহত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না তারা। বিজেপিশাসিত রাজ্যেও কখনও কোনও রাজনৈতিক খুন হয়নি। ফলে তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। উলটে তাদের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে তৃণমূলের হাতেই খুন হয়েছেন ওই তৃণমূলকর্মী। তার পর বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে মুখ ঢাকা হয়েছে তাদের পতাকা দিয়ে।
ওদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বক্সিরহাট থানার পুলিশ।