হুগলিতে উদ্ধার হল অপহৃত যুবকের বস্তাবন্দি খণ্ড-বিখণ্ড দেহ। নিহতের নাম বিষ্ণু মাল। গত ১০ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন হয়েছেন যুবক।
চুঁচুড়ার কামারপাড়ার বাসিন্দা নিহত বিষ্ণু মালের পরিবারের দাবি, গত ১০ অক্টোবর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে যায় বিশাল দাস নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী। তার পর থেকে বিষ্ণুর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এর পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।
তদন্তে নেমে বিশালের ২ সাগরেদ রামকৃষ্ণ ও রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করে জানা যায়, বিষ্ণুকে খুন করে টুকরো করে কেটে দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দিয়েছে তারা।
এর পর মঙ্গলবার বৈদ্যবাটীতে দিল্লি রোডের পাশে অভিযুক্তদের দেখানো জায়গায় একটি বস্তা থেকে বিষ্ণু মালের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে দেহাংশগুলি। সেখানে বিষ্ণুকে সনাক্ত করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন করা হয়েছে বিষ্ণুকে। অভিযুক্ত বিশালের এক তরুণকে ভাল লাগত। সেই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বিষ্ণুর। বারবার বলার পরেও তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেননি যুবক। তার জেরেই খুন করা হয়েছে বিষ্ণুকে। মূল অভিযুক্ত বিশাল এখনো পলাতক।