ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই এল বর্ষার দেহ। গত শুক্রবার অমরনাথে ভয়াবহ হড়পা বান হয়। বারুইপুরের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী বর্ষা মুহুরির মৃত্যু হয়েছিল অমরনাথে। মাকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। রবিবার গভীর রাতে তাঁর দেহ এসে পৌঁছায় কলকাতা বিমানবন্দরে। এরপর সোমবার ভোরে দেহ নিয়ে আসা হয় বারুইপুরে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষাই প্রথম তীর্থযাত্রী যাঁর মৃত্যু হয়েছে অমরনাথে। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বারুইপুরের বাড়িতে আসে বর্ষার কফিনবন্দি দেহ। প্রাণ উচ্ছল মেয়েটি অমরনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন। ফিরে এল নিথর দেহ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মা নিবেদিতা মুহুরি ও মামা সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে পাঁচ সদস্যের টিম নিয়ে গত ১ জুলাই বেরিয়েছিলেন বর্ষা। ১৬ জুলাই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। একটু আগেই ফিরল পরিবার। কিন্তু শুধু নেই বর্ষা। চিরদিনের মতো অমরনাথে হারিয়ে গেলেন তিনি।
বিকেল ৫টা নাগাদ আচমকাই বৃষ্টি নামে অমরনাথে। আধঘণ্টার মতো বৃষ্টি হয়। তারপরই পাহাড় থেকে তীব্র জলের ধারা নামতে থাকে। এর সঙ্গেই বড় বড় পাথর। সেই পাথরের আঘাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই ভেসে যান বর্ষা। খবর পরিবার সূত্রে।
আত্মীয় স্বরূপ মুহুরি বলেন, মা ভেসে যাচ্ছিলেন। বর্ষা বাঁচাতে যান। কিন্তু ভেসে গেলেন তিনি। রবিবার উদ্ধার হল নিথর দেহ।
এমএসসি শেষ করে পিএইচডির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে ভালোবাসতেন। পরিবারের সঙ্গে বছরে দুতিনবার বেড়াতে যেতেন। সেই বেড়াতে গিয়েই আর বাড়ি ফেরা হল না বর্ষার।