সোদপুরে পাওয়া গেল নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে আর্য দাস (১৫) নামে ওই কিশোরের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। নিহতের মা ও দিদির দাবি, সম্পত্তি বিবাদের জেরে জ্যেঠু ও জ্যেঠিমার প্ররোচনায় আত্মঘাতী হয়েছে কিশোর।
জানা গিয়েছে, এবছর মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল আর্যর। ১০ বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর মা ও দিদির সঙ্গে থাকত সে। কিন্তু সম্পত্তির দখল নিতে তাদের লাগাতার নির্যাতন করতেন জ্যেঠু ও জ্যেঠিমা।
গত ২১ ডিসেম্বর মাধ্যমিকের টেস্ট শেষ হয় আর্যর। পরদিন ফের বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। আর্যর মা সোমা দাসকে হেনস্থা করেন জ্যেঠু ও জ্যেঠিমা। সেই দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিশোর। তার পর থেকেই নানা অস্বাভাবিক আচরণ করছিল সে। মা ও দিদি তাঁকে বোঝালেও তেমন ফল হয়নি। সোমবার হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোর। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় খড়দা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মা। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হল তাঁর দেহ।
প্রতিবেশীদের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ওই কিশোর। তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন জ্যেঠু ও জ্যেঠিমা। তাঁদের গ্রেফতারি দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনার তদন্ত করছে খড়দা থানার পুলিশ।