নদিয়ার কল্যাণীতে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীর দেহ। ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় লাইনের ধার থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এদিন রাত বারোটা নাগাদ তার দেহ লাইন থেকে উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুন নাকি আত্মহত্যা সেই রহস্যে উদ্ধারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত পুলিশ কর্মীর নাম ইসরাফুল সাহাজি। তাঁর বাড়ি কল্যাণীর মদনপুর এলাকায় জঙ্গলগ্রামে। কল্যাণীর হাউজিং-এর পুলিশ কোয়ার্টারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
পুলিশ সূত্র খবর, বুধবার বিকাল চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন ইসরাফুল। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তিনি আর ঘরে ফেরেননি। স্ত্রী বারবার মোবাইলে ফোন করলেও ইসরাফুল ফোন ধরেননি। রাত বারোটা নাগাদ তাঁর মোবাইলে ফের করলে কল্যাণী মেন স্টেশনে কর্তরত এক আধিকারিক ফোন ধরেন। তিনি জানান লাইনের ধারে ইসরাফুলের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
(পড়তে পারেন। ঘুষি মেরে ট্রাফিক সার্জেন্টের নাক ফাটিয়ে দিল মুরগি ব্যবসায়ী, হরিদেবপুরে ধুন্ধুমার)
(পড়তে পারেন। ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে টানা একমাস ধরে ধর্ষণ দার্জিলিংয়ের বৃদ্ধের)
ইসরাফুলের স্ত্রী করিস্মা সাহাজি বলেন,'প্রতিদিনই বিকালের দিকে হাঁটতে বেরোয়। এ দিন বিকালে চা খেয়ে বের হয়েছিল। কিন্তু রাত দশটার পর বাড়িতে না আসায় আমি ফোন করতে থাকি। ওর বন্ধু-বান্ধবদেরও ফোন করি। রাত বারোটা নাগাদ এক রেলকর্মী জানান লাইনের ধারে একটি বডি উদ্ধার হয়েছে।'
রেল জানিয়েছে, বুধবার রাতে কল্যাণীর সাহেব বাগান সংলগ্ন রেললাইনের ধারে ইসরাফুলের ক্ষতবিক্ষত দেখতে পান রেলকর্মীরা। পাশেই তার মোবাইল ফোন পড়েছিল। রেলপুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে রানাঘাটে ময়না তদন্তে পাঠায়।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে মৃত পুলিশকর্মীর পবিরারে। স্ত্রী ছাড়াও ইসরাফুলের এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। কেউই বুঝতে পারছেন না কেন মৃত্যু হল ইসরাফুলের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।