তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির কাছেই পুকুরে উদ্ধার হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর হাত পা বাঁধা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সন্দেশখালির কালীনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটিহারা গ্রামে। নিহত তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তরুণীর ফোনটি উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই আদিবাসী তরুণী। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। রাত বাড়লেও বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু গোটা এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর পর ন্যাজাট থানার নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি। তার পরও ২ দিন তরুণীর কোনও খোঁজ পাননি কেউ।
শনিবার সকালে ঘটিহারা গ্রামে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে পুকুরে তরুণীর দেহ ভাসতে দেখা যায়। হাত পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা। কোমরে বাঁধা ছিল থান ইঁট। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
দেহ উদ্ধারের পর মৃতের পরিবারের দাবি, তরুণীকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে তাকে। তবে কে বা কারা তরুণীকে খুন করেছেন তা নিয়ে কিছু বলেননি তাঁরা। দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তরুণীর ফোনটি উদ্ধার হয়েছে। তার কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।