সিবিআই হেফাজতে মৃত লালন শেখের বাড়ির তালা ভেঙে ফেলা হল। এখানে আনা হবে লালনের দেহ। মঙ্গলবার সেই বাড়ির সামনে যান সিবিআই ও পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর সেই বাড়ির তালার সিল খুলে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে চাবি পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বাড়়ির লোকজন তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এনিয়ে টানাপোড়েনও চলে।
তবে বাড়িতে ঢুকে লালনের পরিবার অভিযোগ তোলেন, আলমারিতে টাকা ছিল। সেগুলি চুরি করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করা হয়েছে। লালনের পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে তল্লাশির নামে একেবারে তছনছ করা হয়েছে। বহু জিনিসপত্রে হদিশ মিলছে না।
এদিকে সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃ্ত্যু নিয়ে এবার সিআইডি তদন্তভার নিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে বগটুই কাণ্ডে। কাল রামপুরহাট থানা থেকে কেস ডায়েরি নেবে সিআইডি। এনিয়ে এবার রাজনৈতিক মহলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, রহস্যমৃত্যুতে তদন্ত হবে না? বিরোধীরা চাইছেন কী? সিবিআইকে অপব্যবহার করছে বিজেপি। বাড়ির লোক যা যা অভিযোগ করছেন সেই ধারা দিয়েই তদন্ত করছে। মৃতের স্ত্রী যখন অভিযোগ করছেন তখন সিআইডি তো মামলা নেবেই।
এদিকে লালন মৃত্যু নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ওরা বলেছিল হার্ড ডিস্ক দাও, নাহলে ৫০ লাখ টাকা দাও। আমি তখন বললাম ৫০ লাখ টাকা কোথায় পাব! আপনারা আমার বাড়ি সিল মেরে দিয়েছেন। বাড়ির সব চুরি হয়ে গিয়েছে। কিছুই নেই। সেই উত্তরে অফিসার বলেছিলেন, টাকা দিলি না তো! ১২টার পর থেকে আমাদের খেল শুরু করে দিচ্ছি।
এদিকে এই বাড়িতে লালনের দেহ আনার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বগটুই গ্রামে। গোটা গ্রাম ফের থমথমে হয়ে গিয়েছে। তবে দেহ নেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। পরিবারের দাবি, লালনের জিভ কেটে নিয়েছে।