ফের অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা করতে গিয়ে বিতর্কে চিকিৎসক। এবার প্রশ্ন উঠছে বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর ভূমিকা নিয়ে। SSKM তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পরেও কেন তিনি মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর এই প্রশ্নের বিস্ফোরক জবাব দিয়েছেন বুদ্ধদেববাবু।
বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের কাছে ওপরতলা থেকে নির্দেশ এসেছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ পেয়েছি। কেউ যদি নিজেকে অসুস্থ বলেন, তাহলে তো আমাদের তাঁকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই হবে। আর যদি প্রশাসনিক স্তর থেকে নির্দেশ আসে, তাহলে তো তা পালন করা আমাদের কর্তব্য।’
মঙ্গলবার সকালে অনুব্রতকে নোটিশ ধরাতে তাঁর বোলপুরের বাড়িতে যান এক সিবিআই আধিকারিক। তিনি বেরোতেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢোকেন বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী সহ ২ স্বাস্থ্যকর্মী। বেশ কিছুক্ষণ অনুব্রত মণ্ডলকে পরীক্ষা করে তিনি জানান, ‘অনুব্রতর অর্শ পেকে উঠেছে। উনি কষ্ট পাচ্ছেন। তাই বেড রেস্টের পরামর্শ দিয়েছি’।
কিন্তু প্রশ্ন হল, সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলে সরকারি হাসপাতাল থেকে কি চিকিৎসক পৌঁছয় তার বাড়িতে? উলটে হাসপাতালে পৌঁছেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকেন রোগী। অনুব্রত মণ্ডল তো কোনও জনপ্রতিনিধিও নন, তাহলে তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কেন? SSKM হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এমন কী হল যে তাঁর বাড়িতে ছুটলেন সরকারি ডাক্তারবাবু? অনুব্রতর অর্শের সমস্যা যদি অতই গুরুতর হবে তাহলে তিনি কী করে ৩ ঘণ্টা গাড়িতে বসে কলকাতা থেকে বোলপুর ফিরলেন?