Bhole Bom Rice Mill: অনুব্রতর ভোলে ব্যোম রাইস মিলের ভিতরে নিরাপত্তারক্ষীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

বোলপুরের কালিকাপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিল এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে রাইস মিলের ভিতরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করেন অনুব্রত মণ্ডলের বাহিনী। রাইস মিলের চাতালে ফেলে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে ব্যাপক মারধর করা হয়।

অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ভোলে বোম রাইস মিল।

গরুপাচারের তদন্তে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের দল। আর তার পর উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয়দের দাবি, অনুব্রতর চালকলের ভিতরে পিটিয়ে মারা হয়েছে এক নিরাপত্তারক্ষীকে। তিন মাস আগের সেই ঘটনায় পুলিশে দায়ের হয়নি কোনও অভিযোগ। এমনকী অনুব্রতর গ্রেফতারির পরও ভয়ে ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না স্থানীয়রা। সবার মুখে একটাই কথা, বীরভূমে বাস করতে হবে।

বোলপুরের কালিকাপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিল এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিন মাস আগে রাইস মিলের ভিতরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করেন অনুব্রত মণ্ডলের বাহিনী। রাইস মিলের চাতালে ফেলে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মারা হয় কাঠ ও লাঠি দিয়ে। এর পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। দিন পনেরো পর মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মারধরের ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ গায়েন। তাঁর নির্দেশেই ওই নিরাপত্তারক্ষীকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ।

'কেষ্ট বেটাই চোর!', ভাইরাল জন্মাষ্টমীতে Amul-র বার্তা, হাসি থামছে না নেটপাড়ার

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তির নাম – ঠিকানা জানেন না কেউ। কেন তাঁকে মারধর করা হয়েছিল তাও জানা যায়নি। স্থানীয়দের অনুমান, অনুব্রতর কারবারের কোনও রহস্য জেনে ফেলায় হামলার মুখে পড়েছিলেন তিনি। বোলপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রকম কোনও ঘটনার কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি সেখানে।

ঘটনার পর তিন মাস কেটেছে। গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার পরেও সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পিছিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। একই পরিস্থিতি ভোলে ব্যোম রাইল মিলের পুরনো মালিক হারাধন মণ্ডলের ছেলে শ্যামল মণ্ডলেরও। কী করে তাঁদের চালকলের মালিক হলেন অনুব্রত? কত টাকার বিনিময়ে চালকল কিনেছিলেন তিনি? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে কাঁপছে তাঁর গলা। বারবার একটাই কথা বলছেন শ্যামলবাবু, ‘বোলপুরে থাকতে হবে দাদা। বীরভূমে প্রচুর আত্মীয় স্বজন রয়েছেন। জলে থেকে কুমিরের সঙ্গে লড়তে চাই না।’

এদিন ভোলে ব্যোম রাইস মিলে সিবিআইয়ের দল পৌঁছলে তাদের ঢুকতে বাধা দেয় অনুব্রতর কর্মীরা। প্রথমে জানানো হয় চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে জানানো হয়, অনুমতি নেই। এর পর সিবিআই সার্চ ওয়ারেন্ট দেখালে চাবি খুঁজে পান তাঁরা। ভিতরে ঢুকে দেখা যায় গ্যারাজে রাখা রয়েছে একাধিক দামি গাড়ি।