আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি কেষ্ট। মাস চারেকের মধ্যে তাঁর ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। ওদিকে শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে কেষ্টকে ছেড়ে রামেই আস্থা রাখলেন বোলপুরের পুরপ্রধানসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি রামনবমীর শোভাযাত্রায় পা মেলালেন তাঁরাও। এদিনের মিছিলে বোলপুরের রাস্তায় কার্যত জনজোয়ার নামে। রাম নবমীর মিছিলে তৃণমূলের পুরপ্রধানের উপস্থিতিতে অনেকে রাজনৈতিক অংক কষতে শুরু করে দিয়েছেন আগেভাগেই।
বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুর রেল ময়দান থেকে রাম নবমীর বিশাল শোভাযাত্রা বেরোয়। মিছিলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরীশ মুখোপাধ্যায়। সেই মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ, উপ পুরপ্রধানসহ তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলরকে। মিছিলে যোগদানকারী তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই মিছিলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। রামনবমীর শোভাযাত্রার সঙ্গে সবার ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে। ফলে য়ে কেউ মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারে।
মিছিলের অন্যতম আয়োজক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। হিন্দুত্বের প্রচার করাই আমাদের কাজ। তাই এই মিছিলে যে কেউ যোগদান করতে পারেন। ভগবান শ্রী শ্রী রামচন্দ্রে আস্থা রয়েছে এমন সবাইকে আমরা স্বাগত জানাই।
ওদিকে কেষ্টর দিল্লিযাত্রার পর তৃণমূলে পুরুপ্রধানসহ অন্যান্য নেতাদের রামনবমীর মিছিলে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকে। তাদের দাবি, তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান অনেকেই, তাই পদে থাকলেও বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, রামনবমীর মিছিল ঘিরে গেরুয়া শিবিরের পরিকল্পনা মোটের ওপর সফল।