বোলপুরে আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবার ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠেছিল। ধার করা টাকা শোধ করতে না পেরেই কি মেয়েকে অন্যের লালসার শিকার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি? এদিকে গোটা ঘটনা নিয়েই পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই কার্যত নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রাতভর এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর অভিযুক্ত বাবা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতার বাবা। তবে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী রিপোর্ট তলব করতেই পুলিশ জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত বাবা।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী রিপোর্ট করতেই রাতেই থানায় চলে এসেছিলেন জেলার পুলিশ সুপার। এরপরই অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় অন্য় কেউ যুক্ত কি না সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে সূত্রে খবর, এই ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবারও মদত ছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধ করতে পারেনি বাবা। আর সেই টাকা শোধ করতে না পেরেই ওই বাবা তার নিজের মেয়েকে তৃণমূল নেতার হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর বাবার মদতে ওই তৃণমূল নেতা সহ তার সঙ্গীরা তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকী জানাজানি করলে খুনেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।কিন্তু নির্যাতিতার দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এদিকে তৃণমূল নেতার মায়ের দাবি, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। মেয়েটির বাবাটা মূল দোষী।