পূর্ব মেদিনীপুরে বোমা বিস্ফোরণ। ভর সন্ধ্যেবেলা বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। ফেটে উড়ে গেল বাড়ির দেওয়াল। তখন ছাদের ওপর দোতলার কাজ হচ্ছিল। নির্মীয়মাণ দোতলার মধ্যেই ফাটে বোমা। বিস্ফোরণের শব্দে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মানুষজনের মধ্যে। এই বিস্ফোরণের জেরে দেওয়াল উড়লেও ভাগ্যের জোরে প্রাণে রক্ষা পেল পরিবার। রবিবার ঘটনাটি ঘটে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুনা গ্রামে। ময়না বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তবে কোথা থেকে এল বোমা তা বোঝা যাচ্ছে না। কীভাবে বিস্ফোরণ হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নার বাসিন্দা সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি একজন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বোমা মজুত রাখার অভিযোগ তুললেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, নির্বাচনের আগে থেকেই বোমা মজুত করে রেখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক সুনীল মণ্ডল। তা ফাটল নির্বাচনের পর। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, সুনীলের বাড়িতে গোপনে বোমা রেখে এসেছিল বিজেপিই। বদনাম করার জন্য।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় অবাক। কারণ সুনীল মণ্ডল একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। একবছর আগে ওনার প্যারালিসিস হয়। পারিবারিক অবস্থাও ভাল নয়। দিন আনে দিন খায়। তাঁর বাড়িতে বোমা রেখে আসার কথা আমরা ভাবতেও পারি না।’ সুনীলের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিজেপিই এই কাজ করেছে বলে মনে করছেন তিনি।
আর বিজেপির তমলুক জেলা সহ–সভাপতি আশিস মণ্ডলের দাবি, এলাকায় বিজেপির নেতাদের ওপর হামলার জন্য বোমাগুলি মজুত করা হয়েছিল। পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। পুলিশ শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য মুখিয়ে আছে।