পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সালার। চলল মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি। মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালারের খাড়েঁরা গ্ৰাম। বোমাবাজির পাশাপাশি তৃনমূলের বিদুৎ কর্মাধ্যক্ষ ও কিষাণ সেলের ব্লক সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল থেকে চলে এই বোমাবাজি। ভরতপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান খাতুনের বাড়িতে বোমাবাজির পাশাপশি ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগ, দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাক আলির নেতৃত্বে এই এই বোমাবাজি করা হয়েছে।
ওই তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কিষাণ সেলের সভাপতি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ চলছিল। আর ভোটের আগে সেই ঘটনার জেরেই নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন ও এলাকা দখল করার উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। ভরপুর ২ কিষাণ সেলের সভাপতি জুল হোসেনের অভিযোগ, অন্য এক জনের সঙ্গে প্রধানের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। তাদের সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না। অথচ তাদের বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়েছে। বাড়ির ভিতরে ৮ থেকে ১০টি বোমা মারা হয়েছে এবং বাড়ির বাইরে তার থেকেও বেশি বোমাবাজি করা হয়েছে। নুরজাহানের স্বামী জানিয়েছেন পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জানান, প্রধানের নেতৃত্বে এরকম কাজ হতে পারে না। এটা পারিবারিক কোনও বিবাদ। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন বিষয় নেই। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি ঘটনায় প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। অপরদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে অভিযুক্ত ওই প্রধান তার নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, নির্বাচনের আগেই এমন ঘটনায় চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পুরো গ্ৰাম জুড়ে। যদিও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্ৰামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। সেই সঙ্গে চলছে কড়া নজরদারি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup