অনলাইনে খাবার ডেলিভারির কথা তো আগেই শুনেছি। এবার জানা গেল খাবার নয়, বোমাও নাকি অনলাইনে ডেলিভারি দেওয়া হত। সম্প্রতি এমনই এক চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পিছনে আর কারা কারা আছে, পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মকবুল শেখ। কাটোয়ার মুলটিতে এই নেটওয়ার্ক চলত। পুলিশের কাছে বহুদিন ধরেই এই ধরনের খবর ছিল। কিন্তু কীভাবে এই কাজ চলছে, তা পুলিশ ধরতে পাচ্ছিল না। ধৃতকে জেরা করে পুলিশের কাছে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২৫০ টাকায় সুতলি বোমা ও ৪৫০ টাকায় কৌটো বোমা বিক্রি হত। নানা ধরনের বোমা তৈরি হত। বিভিন্ন আকারের বোমা। বোমা তৈরি করে তার ছবি গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হত। গ্রাহকের পছন্দ হলে দরাদরি শুরু হত। এরপর সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে পার্সেল করে বোমা পাঠিয়ে দেওয়া হত নির্দিষ্ট ঠিকানায়। অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হত।
জানা গিয়েছে, মকবুল শেখের শৌচালয়ের ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়েছে। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে, কারা কারা এই বোমা তৈরির বরাত দিত। বোমা তৈরির কাজে পিছন থেকে কারা যুক্ত রয়েছে, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বীরভূমে বগটুই কাণ্ডের পর রাজ্যের ডিজিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যেন বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। সেইমতো রাজ্য জুড়ে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার গলায়। তিনি জানান, ‘দুয়ারে সরকার, দুয়ারে রেশনের পর দুয়ারে বোমাও পৌঁছে যাচ্ছে। এইরকম কোথাও হয়েছে কিনা জানা নেই।’ পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। তিনি জানান, পুলিশ কাজ করছে বলেই বোমাগুলিকে উদ্ধার করা গেল। বিজেপিরও এতে ইন্ধন আছে কিনা দেখতে হবে।