পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার বোমা উদ্ধার হয়েছে। নদিয়ার চাকদায় ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ, শুক্রবার পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দোকানের সামনে বোমা উদ্ধার হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের দোকানের সামনে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। তাতেই আতঙ্কিত গোটা এলাকা। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ। নদিয়ার চাকদহ থানার মদনপুর খালদার পাড়া এলাকায় এভাবে বোমা উদ্ধার হবে সেটা কেউ ভাবতেও পারেনি। ওই এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হাবিব মণ্ডল। তার স্ত্রী হালিমা মণ্ডল শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা।
এদিন হাবিব মণ্ডলের দোকানের সামনে ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল ছ’টি বোমা। তাঁদের বাড়ি সংলগ্ন একটি দোকান রয়েছে। প্রত্যেকদিনের মতো তাঁরা দোকান খোলেন সকালে। দোকানের সামনে একটি ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। তখন মনে করেন, কোনও চাষি হয়তো এই ব্যাগটি রেখেছেন। তবে কোনও একজন এলাকাবাসী ব্যাগে উঁকি মারতেই দেখেন ব্যাগটিতে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা রয়েছে। তখনই তৃণমূল নেতাকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি নিজেও খুলে দেখেন সত্যিই তাজা বোমা রয়েছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে আসে চাকদাহ থানার পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডের সহযোগিতায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার কাজ চালাচ্ছে।
ঠিক কী বলছেন হাবিব মণ্ডল? এদিকে এই ঘটনায় শিউরে ওঠেন খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হাবিব মণ্ডল। তাই তিনি নিজে চোখে দেখে ভয় পেয়ে যান। তিনি বলেন, ‘চাষিরা দোকানের সামনে ব্যাগ রেখে মাঠে কাজ করেন। তাই কারও ব্যাগ রয়েছে বলে ভেবেছিলাম। নিজের মতো দোকান খুলে বেচা–কেনা শুরু করছিলাম। হঠাৎ আমার এক বন্ধু দোকানে আসেন। আর ওই ব্যাগ খুলে দেখেন। তখন আমাকে বলেন, ব্যাগের মধ্যে বোমা রাখা আছে। তারপরেই বিষয়টা খেয়াল করি।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে আতঙ্কিত করার জন্য বিরোধীরা এই চক্রান্ত করে থাকতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কে বা কারা রেখেছে পুরোটাই প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে। পাশাপাশি এটা জনবহুল এলাকা। এখানে অনেক বাচ্চারা আসে। তাই বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
আর কী জানা যাচ্ছে? হাবিব মণ্ডলের স্ত্রী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হালিমা মণ্ডল খুব আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁর কথায়, ‘এই খবর পেয়ে আমিও ছুটে এসে দেখি ব্যাগের মধ্যে বোমাগুলি রয়েছে। তবে কে বা কারা রেখেছে? সেটা এখন কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীকালে তদন্ত করে দেখা হলেই বোঝা যাবে কারা এই চক্রান্ত করেছে।’ অন্যদিকে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ওই বোমা ভর্তি ব্যাগ রেখে গিয়েছে সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিশ।