একদিকে এগরা থেকে ভাঙড়—বিস্ফোরণে তেতে উঠেছে এলাকা। অন্যদিকে তার মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হল। যা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বীরভূমে। যা ফেটে গেলে মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারত। কয়েকদিন আগে দুবরাজপুরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার হল। আজ, সকালে রামপুরহাট থেকে দু’ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বীরভূমে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। একসঙ্গে দুই ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হল বীরভূমের রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামের হাটতলা এলাকায়। কালীভাসা নামে একটি পুকুরপাড়ের ঝোপ থেকে দুটি ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে এমন ঘটনা দেখে সকলে হতবাক। পুকুরের পাড়ে একটি ঝোপের আড়ালে দুটি হলুদ রঙের প্লাস্টিকের ড্রামে তাজা বোমা মজুত ছিল। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা ঘিরে রাখে। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুটি ড্রামে মিলিয়ে ৩০টি বোমা রয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে বুধবার দিনই বীরভূমের একটি পরিত্যক্ত কোয়াটার থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। বোলপুর দুবরাজপুরের পর কাঁকরতলায় বোমা উদ্ধার হওয়া নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে ১২টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত সাহাপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ১২টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বীরভূমের রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামের হাটতলা এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হল। কেন এত বোমা রাখা হয়েছিল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
কেন এমন ঘটনা ঘটছে? পুলিশ সূত্রে খবর, আজ দু’ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা রেখেছিল তা খোঁজ করা হচ্ছে। কোনও নাশকতার জন্যই এই বোমা রাখা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বীরভূমে পরপর বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেন এলাকায় বোমা মজুত করা হচ্ছে? সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।