রাজনৈতিক হিংসায় বাংলায় ফের ঝরল রক্ত। চলে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মালদার মানিকচকে আজ সকালে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা। নিহত কংগ্রেস নেতার নাম মহম্মদ সইফুদ্দিন। জানা গিয়েছে, আজ সাতসকালে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। চৌকি ধরমপুর বাজার এলাকায় খুন হন সইফুদ্দিন। সেই এলাকাটি বেশ জনবহুল। এই আবহে সেখানে সকাল সকাল বোমাবাজির ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত মানুষজন। পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশ। খুন হওয়া কংগ্রেস নেতার দেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা। (আরও পড়ুন: নজরে পুলিশের 'ভুল', আরজি কর কাণ্ডে এক শীর্ষ কর্তাকে অনলাইনে জেরা CBI-এর: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'CM বাইরে ভিজেছেন…', 'অতি বাম চিকিৎসকদের' ওপর বিরক্ত সার্ভিস ডাক্তার ফোরাম
আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক খুনের মামলায় সন্দীপ গ্রেফতার হতেই সরব তৃণমূলের 'বিদ্রোহী নেতা'
জানা গিয়েছে, নিহত নেতা মহম্মদ সইফুদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমে অনুমান করছে, তাঁকে খুন করার উদ্দেশেই এই বোমাবাজি করা হয়েছিল। তবে কী কারণে, কারা এই বোমা মেরেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহে আরও তদন্ত করছে পুলিশ। অপরদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। এদিকে দাবি করা হচ্ছে, আগেও সইফুদ্দিনের পরিবারের এক জনকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল। সেটা অবশ্য পুরনো শত্রুতার জেরে করা হয়েছল। তবে বর্তমানে সইফুদ্দিন খুনের ঘটনায় দলের যুক্ত থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে ঘটনায় উঠে আসছেন নাসিক নামক এক ব্যক্তির নাম। অভিযোগ, সে তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত। (আরও পড়ুন: 'লাইনে এরপর… তাই চন্দ্রিমাকে CM বলেন', কালীঘাটের বৈঠক নিয়ে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ)
আরও পড়ুন: 'এটা ঘাড় ধাক্কা?' কালীঘাটে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ডাক্তারদের তোপ দেগে বিস্ফোরক TMC
আরও পড়ুন: 'কান টানলে…', আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় সন্দীপ গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক চিকিৎসকরা
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সভা, মিছিল বা কর্মসূচি হচ্ছে। এই আবহে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। এরই মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীদের। এরই মাঝে মানিকচকে খুন হলেন কংগ্রেস কর্মী। তবে এই খুন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কারণে কি না, তা জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে নিহত সইফুদ্দিনের এক আত্মীয় ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, তিনি আজ সকালে বাজারে গিয়েছিলে। সেই সময় পিছন দিক থেকে পিঠে দুটো বোমা মেরেছে দুষ্কৃতীরা। রক্তে ভেসে গিয়েছে রাস্তা। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মানিকচকের এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত। এর আগে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের এক নেতা সেখানে খুন হয়েছিলেন। তখন অভিযোগের আঙুল উঠেছিল হাত শিবিরের দিকে।