গত কদিন ধরে বাংলার বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিএসএফ–বিজিবি দ্বন্দ্ব চলছে। আজ, শনিবার হামলার মুখে পড়ল বিএসএফ। এবার পাচারকারীরা এপারে প্রবেশ করতে হামলা চালায়। আর তার জেরে উত্তপ্ত মালদার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে চলল গুলি। উত্তেজনা ব্যাপক ছড়াল সীমান্তবর্তী এলাকায়। এই আবহে এবার চার মেয়েকে নিয়ে চোরাপথ ধরে বাংলাদেশ পাড়ি দিচ্ছিলেন বাবা। গোপনে চুপচাপ সেই কাজ সেরে ফেলবেন ভেবেছিলেন। আর মেয়েরা ভারতের নকল পরিচয়পত্র তৈরি করে নির্দ্বিধায় এদেশে বসবাস করছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা তো হল না। সীমান্ত পেরনোর সময়ই তাঁদের গ্রেফতার করল বনগাঁ থানার পুলিশ।
এদিকে মালদায় নওয়াদা আউটপোস্টে বিএসএফের ১১৯ নম্বর ব্যাটালিয়ন দায়িত্বে থাকাকালীন তাদের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণ বাঁচাতে গুলি ছুড়তে হয় বিএসএফ জওয়ানদের। তখন অনুপ্রবেশকারীরা পালিয়ে যায় ওপার বাংলায়। আর বনগাঁ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার মেয়ের নাম আসমা মৃধা, পুন্নি মৃধা, রিয়া মৃধা এবং আলিজা কুরেশি। তাঁরা কয়েকবছর আগেই বাংলাদেশ থেকে বেআইনি পথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসেন। তারপর নয়াদিল্লিতে গিয়ে বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের উপর হামলা করল দুষ্কৃতীরা, পাল্টা গুলি চালাতেই গেল ওপারে
অন্যদিকে এই চার মেয়েই ভারতের পরিচয়পত্র নকল বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ। চার বোনের মধ্যে একজন বিবাহিত। তাঁর আবার এক সন্তানও রয়েছে। হিন্দু নির্যাতনের জেরে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় পালিয়ে আসছেন বহু বাংলাদেশের নাগরিক। এমনকী জঙ্গিরাও ঢুকে পড়ছে। যাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারও করছে পুলিশ। এই আবহে বাংলাদেশ থেকে কদিন আগে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসেন নান্নু মৃধা। যিনি ওই চার মেয়ের বাবা। দিল্লি থেকে মেয়েদের বনগাঁয় নিয়ে এসে সীমান্ত টপকে আবার বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ধরা পড়েন।
এছাড়া আজ শনিবার ওই পাঁচজনকে বনগাঁ বাগদা সড়কের পাশে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। বনগাঁ থানার পুলিশ তাঁদের জেরা করতে শুরু করলে কথায় নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে। আর যা পরিচয়পত্র পাওয়া যায় সেগুলি নকল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়। নান্নু মৃধা জেরার স্বীকার করেন, তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানা এলাকায়। তিনি মেয়েদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। আজ ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।