বাংলাদেশে এখন চরম অরাজকতা চলছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জঙ্গিরা চলে আসছে বলে অভিযোগ। সেখানে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। কারণ বাংলার সীমান্ত দিয়েও ঢুকে পড়ছেন ওপার বাংলার নাগরিকরা। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করছে বাংলার পুলিশ–প্রশাসন। কিন্তু সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তা ঠেকাতে পারছে না। পুলিশের দৌলতে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছে। আর তা নিয়ে এবার চিঠি লিখলেন বনগাঁ পুরসভার পৌরপ্রধান। বিএসএফকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন পৌরপ্রধান গোপাল শেঠ।
বাংলা থেকে বাংলাদেশের জঙ্গিও ধরা পড়েছে। একের পর এক বাংলাদেশের নাগরিক পাকড়াও হয়েছে পুলিশের মাধ্যমে। সেখানে সীমান্তে কেমন সুরক্ষা দিচ্ছে বিএসএফ? উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে গোপালবাবুর দাবি, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হয়েই চলেছে। আর বিএসএফ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। বনগাঁ সীমান্ত লাগোয়া শহর হওয়ায় দ্রুত এখানে ঢুকে গা–ঢাকা দিচ্ছে ওপার বাংলার নাগরিকরা। যার জেরে এখানে বাড়ছে অপরাধমূলক কাজকর্ম। বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এখানে ঢুকতে সক্ষম হচ্ছে বিএসএফ নিষ্ক্রিয় বলে। সীমান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। প্রায় কুড়ি কিমি এলাকায় কাঁটাতারও নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ জওয়ানও নেই।
আরও পড়ুন: মালদায় বাড়িতে ঢুকে জোড়া খুনের চেষ্টা, বৃদ্ধের মৃত্যু, কারা হামলা চালিয়েছে? তদন্তে পুলিশ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নানা সভা–সমিতি থেকে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সেখানে গোপালবাবু চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, মাল্টি পারপাস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা বনগাঁয় এসে নানা হোটেলে থাকছে। এমনকী এখান থেকে ভিন রাজ্যেও যাতায়াত করছে। দেশের সুরক্ষার জন্য এই সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর কড়া নজরদারি রাখা প্রয়োজন। বিএসএফ জওয়ানরাও ৪৫টি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছেন। জওয়ানদের নিজস্ব ঘর থাকা সত্ত্বেও এটা করছেন। পুলিশকে সীমান্ত এলাকায় এখন বেশি সজাগ থাকতে হচ্ছে বিএসএফ কাজ না করার জন্য বলে মত গোপাল শেঠের।
বনগাঁ, অশোকনগর, হাবড়া দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল শেঠের। তাই চিঠি লিখেছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক এবং বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে। যদিও বনগাঁ সাংঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল তা অস্বীকার করে বলেন, ‘ওঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএসএফকে তার কাজ শেখাতে হবে না। আজকে ওঁর দিদি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জমি দিচ্ছে না বলে বিএসএফ ফেন্সিং করতে পারছে না।’