বাংলাদেশে অশান্তির বাতাবরণ। তার জেরে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আক্রান্ত হিন্দুরা চলে আসতে চাইছেন। আবার মহম্মদ ইউনুস সরকারের দৌলতে এখন জেলে থাকা জঙ্গিরা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। তারা কৌশলে এপারে ঢুকতে চাইছে। এমনকী বেশ কয়েকজন ঢুকে ধরাও পড়েছে। এই আবহে বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপের আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ ইতিমধ্যেই জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জেরে সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার এসব দেখে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএসএফের ডিজি। তাই বাংলার তিন জেলায় বাড়তি জওয়ান মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই মণিপুর থেকে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় জওয়ানদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে। আর তাই ফেরানো হচ্ছে ২২–২৪ কোম্পানি বিএসএফ। নদিয়া, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ সীমান্তকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। এমনকী সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে গোয়েন্দাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে বিএসএফের ডিজি বলেন, ‘যেখানে কাঁটাতার নেই সেখানে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বেড়া নেই সেখানে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, এটা সঠিক তথ্য নয়। ওখানে আমাদের টহলদাবি বাড়ানো হয়েছে। সিসিটিভি, রাতে ফ্লাড লাইট রয়েছে। আমাদের সীমান্তের একদিকে বিএসএফ অন্যদিকে বিজিবি। দুই বাহিনীর সঙ্গে ভাল যোগাযোগ আছে। আমাদের সব সময়ে চেষ্টা থাকে যাতে কোনও অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে।’
আরও পড়ুন: ফুটন্ত জলেই তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু ছানার কেক, নদিয়ায় তাক লাগালেন প্রস্তুতকারক, জানুন রেসিপি
বাংলাদেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বাড়ছে বলে বারবার উঠছে অভিযোগ। তার কারণ বাংলা, অসম–সহ ভিন রাজ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ধরা পড়েছে। যারা এই রাজ্যে তথা দেশে নাশকতার ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। একজন জঙ্গি এখান থেকে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএসএফের ডিজি দলজিত্ সিং চৌধুরি। আর তাই মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের কর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আর তখনই সিদ্ধান্ত নেন, মণিপুর থেকে ২২ কোম্পানি বিএসএফ জওয়ানকে ফিরিয়ে আনার বলে সূত্রের খবর।
মণিপুর থেকে ওই ২২ কোম্পানি বিএসএফ জওয়ানকে এখানে আনার পরই ওই তিন জেলায় পোস্টিং করে দেওয়া হবে। এই মাসের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা যাচ্ছে। ওই ২২ কোম্পানি বিএসএফ জওয়ানদের নদিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদের মতো স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বিএসএফের আইজি, ডিজিকে বারবার পরির্দশন করতে বলা হয়েছে। অনুপ্রবেশ যাতে কোনওভাবে না হয় তার জন্য টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে এই সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা গ্রামগুলিতে অনুপ্রবেশকারীরা এসে লুকিয়ে থাকছে বলে সূত্রের খবর।