সীমান্তবর্তী এবং সংলগ্ন রেল স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে চাইছে রেল পুলিশ। কারণ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গেলে এটাই মোক্ষম দাওয়াই বলে মনে করা হচ্ছে। রেল স্টেশনকেই ব্যবহার করছে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাংলাদেশি জঙ্গি এবং রোহিঙ্গারা। ট্রেনে করেই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের পাঠানো সেই তথ্য আদানপ্রদানের উপরও জোর দিতে বলা হয়েছে রেল পুলিশকে।
কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? সূত্রের খবর, সম্প্রতি ভোপালে ধরা পড়েছিল চার বাংলাদেশি জঙ্গি। তারা এদেশে এসে ট্রেনে করেই অন্যান্য রাজ্যে গিয়েছিল। বাঁকড়া থেকে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি জঙ্গি আমিরুদ্দিনও রেলপথকে ব্যবহার করেছিল। গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে এদেশে আসা জঙ্গিরা বনগাঁ, বসিরহাট বা নদীয়া জেলার সীমান্তকে ব্যবহার করছে। সীমান্ত লাগোয়া রেল স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় ডেরা বাঁধছে। তারপর ট্রেন ধরে চম্পট। রেল স্টেশনেও নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে ওই জঙ্গিরা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গারা। তারা অসম সীমান্তকে ব্যবহার করছে।
কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই বিষয়টিতে রাশ টানতে গোয়েন্দা সংস্থা, বিএসএফ, আরপিএফ, কাস্টমস–সহ নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের গতিবিধি আটকাতেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এমনকী খুব শীঘ্রই এই নিয়ে বৈঠকে বসবেন বিভিন্ন এজেন্সির প্রতিনিধিরা।
নবান্ন সূত্রে খবর, সীমান্তবর্তী স্টেশনগুলিতে বাড়তি ফোর্স রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আর উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্রও তুলে দিতে কথাবার্তা চলছে। ওই স্টেশনগুলি সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হলে ইমিগ্রেশন চেকিংকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে তৎক্ষণাৎ ভুয়ো নথি এবং ব্যক্তিকে ধরা যায়।