কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।এনিয়ে রীতিমতো উদযাপন করেছে রাজ্য সরকার। কলকাতা জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানও হয়েছে। তবে এবার কোচবিহারের বড়দেবীকেও রাজ্যের সবথেকে প্রাচীন পুজো হিসাবে ঘোষণার দাবি উঠতে শুরু করেছে। এনিয়ে এবার রাজপরিবারের সদস্যরা সহ সাধারণ কোচবিহারবাসীও সরব হয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে তথ্য় সংগ্রহের কাজও চলছে পুরোদমে।
রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারীদের দাবি, কোচবিহারের বড়দেবী সেই বিশ্বসিংহের আমল থেকে পূজিতা হয়ে আসছেন। ১৫৩৩ সালেই এই পুজোর সূচনা হয়েছিল বলে জানা যায়। সেক্ষেত্রে প্রাচীন দুর্গাপুজো স্বীকৃতি দিতে গেলে কোচবিহারকেই দিতে হবে। এনিয়ে এবার চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজপরিবারের উত্তরাধিকারীরা।
কোচবিহার রয়াল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সহ সভাপতি কুমার সুপ্রিয় নারায়ণ হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, আমরা এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠাব। বড়দেবীকেও প্রাচীনত্বের স্বীকৃতি দিতে হবে।
রাজ আমলের রীতি মেনেই কোচবিহারে পূজিতা হন বড়দেবী। দেবীবাড়ির মন্দিরে তৈরি হয় বিশাল মূর্তি। প্রচলিত দুর্গামূর্তির মতো নয় বড়দেবী। দেবত্র ট্রাস্টের পরিচালনায় আজও যাবতীয় রীতি মেনে পূজিতা হন বড়দেবী। বাসিন্দাদের দাবি, ৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন বড়দেবী। এই পুজোর রীতির সঙ্গে দুর্গাপুজোর রীতির কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
বাসিন্দাদের দাবি, কলকাতার সাবর্ণ রায়চৌধুরীর পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণার ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই প্রাচীনত্বের নিরিখে কোচবিহারের বড়দেবীর পুজো কোনও অংশে কম নয়। সেক্ষেত্রে কোচবিহারের বড়দেবীকে কেন প্রাচীনত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ কোচবিহারবাসী।