কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির গরফায় ফ্ল্যাট থেকে যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত ও মৃতা ২ জনেরই গুণপনার অভাব ছিল না। ২ জনেই মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন বলে দাবি তাঁদের। এমনকী ২ জনই বিবাহিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছেন, নিহত যুবতীর নাম মধুরিমা সোম। বিকাশ দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে লিভ ইনে থাকতেন তিনি। ২০১৩ সালে বিয়ে হয় মধুরিমার। ২০২০ সাল থেকে তাঁর ডিভোর্সের মামলা চলছে। বিকাশেরও বিয়ে হয়েছিল কালীঘাট এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই বিকাশকে ছেড়ে চলে যান তিনি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিকাশ ও মধুরিমা ২ জনেই দেদার মদ্যপান করতেন। কালীপুজোর রাতে মধুরিমা মদ্যপান করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যান। তখন স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন, অর্ধনগ্ন অবস্থায় সিঁড়িতে পড়ে আছেন তিনি।
মধুরিমার স্বামীর দাবি বিকাশ তাঁর স্ত্রীর ওপর মত্ত অবস্থায় অত্যাচার করত। বিকাশই মধুরিমাকে খুন করেছে। ওদিকে মধুরিমার বোনের দাবি, শুক্রবার বিকেলে বিকাশের ফোন পেয়ে এসে তিনি দেখেন, বিছানার ওপরে পড়ে রয়েছে দিদির দেহ। কপালে আঘাতের চিহ্ন। সেখান থেকে রক্তপাত হচ্ছে। প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, মদ্যপান করে মধুরিমার সঙ্গে তুমুল বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন বিকাশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মদের নেশা ছাড়াতে বিকাশকে কয়েক মাস আগে বাঁশদ্রোণীর একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে চলে আসেন বিকাশ।
তবে ছেলের বিরুদ্ধে মধুরিমাকে মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিকাশের মা। তাঁর পালটা দাবি, মধুরিমা মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করতেন।
এই ঘটনায় বিকাশ দত্তকে আটক করেছে পুলিশ। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।