নেশা যে ছেলেমেয়েদের কতটা নীচে নামাতে পারে সম্প্রতি তার প্রমাণ মিলেছে। মোবাইল চুরির কিনারা করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনেক কম বয়সি ছেলেরা রয়েছে যারা নেশার কবলে পড়ে চৌর্যবৃত্তিতে নেমেছে। এই সব ছেলেদের মধ্যে ধনী পরিবারের ছেলেরাই রয়েছে। অভাবের তাড়নায় নয়, নেশা করার জন্যই হাতসাফাইয়ের কাজে নেমেছে তারা।
গত কয়েক মাসে মোবাইল চুরির একাধিক অভিযোগ পায় পুলিশ। ইংলিশবাজার থেকে একাধিক অভিযোগ আসে। পুলিশ এরপর ঘটনার তদন্তে নামে। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়। প্রতিবেশি রাজ্য থেকেও বেশ কিছু মোবাইল পাওয়া যায়। এই চুরির পিছনে কারা রয়েছে, সেবিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। জানা যায়, এই চুরির পিছনে অনেক নেশারু যুবকরা রয়েছে। এদের মধ্যে দু–চারজনের আবার গ্যাং রয়েছে। মোবাইল চুরির জন্য জনবহুল এলাকাকেই এরা টার্গেট করে। এমনকি চলন্ত বাস থেকেও মোবাইল চুরি করে পালানোর অভ্যাস রয়েছে এই গ্যাংয়ের। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, যারা এই চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা যে সব গরিব পরিবারের তা কিন্তু নয়। অনেক ধনী পরিবারের ছেলেরাও রয়েছে, যাদের নেশা করার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়।
এই প্রসঙ্গে মালদহের পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার যাদব জানান, ‘যে সব নেশারু যুবকদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে নেশার টাকা অভিভাবকদের থেকে পাবে না বলেই চুরি করার মতলব এঁটেছে।’ শতাধিক চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা গেলেও কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। অনেকগুলি হাত বদলে বিক্রি হয়েছে মোবাইলগুলি।