মালদার পাশেই সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর। মাধ্যমিকের ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সেই বিষয়ের কোনও 'সূত্র' নেই তো? এমনই প্রশ্ন তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন, পরীক্ষা শুরুর অনেক পরে প্রশ্নপত্রের তিনটি পৃষ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছিল। তারইমধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। বরং এটা ‘পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত’-র ঘটনা।
জি ২৪ ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে শুক্রবার ব্রাত্য বলেন, ‘(প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে) ইতিমধ্যে পর্ষদ সভাপতি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। রিপোর্ট আমিও পেয়েছি। তাতে দেখা যাচ্ছে যে বেলা ১২ টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পৌনে দুটো নাগাদ একটি প্রশ্নপত্রের দেড় পাতা কেউ একটা ছবি তুলে কারও কাছে পাঠিয়েছে। (পরীক্ষা শুরুর) এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট পরে সেই ঘটনা ঘটলেও আমরা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। হল থেকে বেরিয়ে কে এটা অন্তর্ঘাত করল, তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমার ধারণা, আগামিকালের মধ্যে বোর্ড সভাপতি রিপোর্ট পেয়ে যাবেন।’
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, 'বোর্ড (মধ্যশিক্ষা পর্ষদ) সভাপতি বলছেন যে এটা অন্তর্ঘাত হয়েছে। আর আমি বলছি যে অন্তর্ঘাত হয়েছে মালদায়। কাকতলীয়ভাবে যেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি (সুকান্ত)। তার সংলগ্ন জেলা হল বালুরঘাট (পড়ুন দক্ষিণ দিনাজপুর)। এই অন্তর্ঘাতের পিছনে সেই সূত্র নেই তো? মালদার একটি স্কুল থেকেই (প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ল) হল।'
শুক্রবার মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা ছিল। দুপুর ১ টা ৪২ মিনিটে টুইটারে তিনটি ছবি পোস্ট করে সুকান্ত সন্দেহপ্রকাশ করেন, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়নি তো? পরে সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত সরাসরি দাবি করেন, মালদায় সেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে। পরীক্ষা শুরুর ৪৮ মিনিট পরে তাঁর কাছে ওই প্রশ্নপত্রের ছবি এসে পৌঁছেছে। অর্থাৎ পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। তিনি দাবি করেন, আপাতত যা খবর পেয়েছেন, তাতে মালদার তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষাসেলের এক নেতা সেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।
যদিও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পর্ষদ। শুক্রবার পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত ঘটেছে। কোন জায়গা থেকে ওই অন্তর্ঘাত হয়েছে, তা খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা চলছে। তাছাড়াও সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। তারপর বেলা ১২ টা থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। যখন প্রশ্নের ছবি তোলা হয়েছিল, তখন সকলে হলে ছিলেন। ফলে পড়ুয়াদের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্লেখ্য, ইংরেজির প্রশ্নপত্র হিসেবে যে তিনটি ছড়িয়ে পড়ে, তা ১৬ পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্রের দুই, তিন এবং ১০ নম্বর পৃষ্ঠা ছিল।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)