করোনার কাঁটায় বহু ব্যবসা কার্যট লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ইটভাটার নাম। ইটভাটা ব্যবসায়ীদের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে নির্মাণকাজে বড় ধাক্কা খেয়েছে। গত কয়েক মাসে ইটের চাহিদা ক্রমশ কমে গিয়েছে। এর জেরে লক্ষ লক্ষ ইট ভাটায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু নেওয়ার লোক নেই। ইটের দাম মাঝে কিছুটা কমানোর পরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।আগে প্রতি হাজার ইটের দাম ছিল ৮-৯ হাজার টাকা, এবার সেই দাম কমে হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা।লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে এবার সেই ভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। এদিকে শুধু এই রাজ্যের নয়, ভিনরাজ্য থেকেও হাজার হাজার শ্রমিক ইটভাটাতে কাজ করতে আসেন। তাঁরাও এবার কাজ হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কা করছেন।
ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকদের পাশাপাশি আরও বহু মানুষ এই ইটভাটা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বসিরহাট মহকুমাতেই অন্তত ৫৭৯টি ইটভাটা রয়েছে। ১০টি ব্লক জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এই ইটভাটা। এবার সেই ইটভাটাগুলিও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি না বদলালে আর কতদিন এই ভাটাগুলি চালানো যাবে তা নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন ভাটার মালিকরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ইট তৈরির খরচও ক্রমেই বেড়েছে। গত বছর প্রতি টন কয়লা ৯ হাজার টাকায় মিলত। এবার সেই দাম হয়েছে ১৭ হাজার টাকা প্রতি টন। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইট বহনের খরচও বেড়েছে। অথচ ইটের চাহিদা তলানিতে। ইটভাটার মালিকদের একাংশের দাবি লোকসান সামাল দিতে না পেরে বসিরহাটের অন্তত ২০-২৫টি ভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে একটি ভাটার সঙ্গে অন্তত ৫০০টি পরিবার যুক্ত থাকেন। মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম পাওয়া তো দূরের কথা কাজ হারিয়ে পথে বসার অবস্থা হয়েছে ভাটার শ্রমিকদের।