বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই পণের বলি হলেন গৃহবধূ। পণের দাবিতে স্ত্রী'কে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। সোমবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনে।এদিন শ্বশুরবাড়ি থেকেই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বধূর নাম প্রিয়াঙ্কা কুণ্ডু। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বরানগরের পাঠাবাড়ি লেনের বাসিন্দা তাপস কয়ালের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্ত অর্পণ কুণ্ডুর।বরানগরেরই প্রাণকৃষ্ণ লেনের বাসিন্দা অর্পণ।
মৃতা গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁর আরও অভিযোগ, শুধু জামাই নয়, শ্বশুর শাশুড়িও তাঁর মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। বাড়িতে ঘুরতে এসে একাধিকবার এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁদের মেয়ে। পরে মৃত গৃহবধূর পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য একাধিকবার আলোচনাতেও বসে দুই পরিবার। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে তাঁদের মেয়ে।