সোমবার থেকে শিয়ালদা-ডানকুনি শাখায় কি লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে? ব্রিজের কাজের জন্য সেই বৃহস্পতিবার থেকে ওই লাইনে পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে অনেকের মনেই সেই প্রশ্নটা ঘুরপাক ঘুরতে শুরু করেছে। সোমবার আবার সপ্তাহের কর্মদিবসে। ফলে উদ্বেগটা আরও বেড়েছে। তারইমধ্যে রবিবার রাত আটটা নাগাদ পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ভোর চারটের মধ্যে কাজ শেষ করার যে কথা ছিল, তার আগেই যাবতীয় কর্মকাণ্ড শেষ হয়ে যাবে। আর রেলের কথা মতো যদি সেটাই হয়, তাহলে সোমবার থেকে শিয়ালদা-ডানকুনি লাইনের পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সরকারিভাবে সেটা বলা না হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, রবিবার রাতে রেল যে বার্তা দিয়েছে, তাতে শেষমুহূর্তে বড়সড় কিছু না ঘটলে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে শিয়ালদা-ডানকুনি লাইনের লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সূত্রের খবর, এখন শেষমুহূর্তের কাজ চলছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে নেওয়া হচ্ছে। তারপর পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে সবুজসংকেত দেওয়া হবে।
কাজ কতটা হয়েছে? আপডেট দিল রেল
রবিবার রাতে পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়েছে, ‘চতুর্থ দিনে মেগা ব্লক পড়ল। বড়সড় উন্নয়নমূলক কাজ গুটিয়ে নেওয়ার কাজটা পুরোদমে চলছে। সিসিআর ব্রিজে নতুন গার্ডার বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। শেষ হয়ে গিয়েছে লাইন পাতার কাজও। ওভারহেড তার বসানোর কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। ট্র্যাকের ব্যালাস্টিংয়ের কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে চলে এসেছে। বাকি কাজও নির্ধারিত সময়সীমার (সোমবার ভোর ৪ টে) আগেই শেষ হয়ে যাবে।’
সোমবার অবশ্য কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে
তবে সোমবার শিয়ালদা-ডানকুনি শাখায় কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে বলে আগেভাগেই রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ভোরের দিকে মোট চারটি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। কোন কোন লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে? সেটার পুরো তালিকা দেখে নিন -
১) আপ ৩২২১১: ভোর ৪ টে ৭ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।
২) আপ ৩২২১৩: ভোর ৪ টে ৫৮ মিনিটে শিয়ালদা থেকে ছাড়ে।
৩) ডাউন ৩২২১২: ভোর ৫ টা ৩ মিনিটে ডানকুনি থেকে ছাড়ে।
৪) ডাউন ৩২২১৪: ভোর ৫ টা ৫৩ মিনিটে ডানকুনি থেকে ছাড়ে।
ব্রিজের আধুনিকীকরণ কাজের জন্য ১০০ ঘণ্টার মেগাব্লক ছিল
সোমবার তো চারটি লোকাল ট্রেন বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার শিয়ালদা-ডানকুনি শাখায় বালিঘাট-বালিহল্ট রোডের সিসিআর-১৫ সেতুর আধুনিকীকরণের কাজের জন্য ১০০ ঘণ্টার মেগাব্লক করা হয়। দিন-রাত পালা করে প্রায় ১,০০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ব্রিজের পুরনো গার্ডার এবং ব্যালাস্ট কেটে অপসারণ করা হয়েছে। নতুনভাবে বসানো হয়েছে ব্যালাস্ট এবং গার্ডার।