দুদিন ধরে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রাখলেন দাদা এবং বৌদি। কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া এবার বাঁকুড়ায়। মৃতের নাম সনৎ কর্মকার। গতকাল ব্যাপক দুর্গন্ধ পাওয়ায় ওই বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তারাই পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকায় দাদা অশোক কর্মকার এবং বৌদির সঙ্গে থাকতেন ৫৬ বছর বয়সের সনৎ কর্মকার। দুই ভাই মিলে একটি টেপ এবং রেডিও সারাইয়ের দোকান চালাতেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। গতকাল রাতে পচা দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। রাত যত বাড়তে থাকে দুর্গন্ধ আরও বাড়তে থাকে। দুর্গন্ধে কার্যত টেকা দায় হয়ে যায়। এরপরে স্থানীয়রা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত তারা ওই বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে দেখেন সনৎ কর্মকারের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আর তাকে আগলে রয়েছেন তার দাদা এবং বৌদি। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। যদিও সনৎ কর্মকারের দাদা অশোক কর্মকার দাবি করেছেন, গতকাল হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার ভাইয়ের। তবে পুলিশের অনুমান আরও দুদিন আগে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং কবে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের লোকেরা এলাকার মানুষের সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশা করেন না। ফলে তাদের খোঁজখবর রাখেন না স্থানীয়রা। তবে মৃতদেহ আগলে রাখাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।