ইচ্ছাপুরে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরের দেওর। সূত্রের খবর, তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আপাতত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়েছে।
উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার দু'নম্বর ওযার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চম্পা দাসের দেওর হলেন গোবিন্দ ওরফে নেপাল। ইছাপুরের মায়াপল্লির বাসিন্দা তাঁরা। বুধবার দুপুরে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন নেপাল। সেই সময় তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পালানোর সময় কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। আহত হন গাড়ির চালক। দু'জনকেই উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নেপালকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন নেপাল। একাধিকবার জেলও খেটেছেন। তাঁর দাদা গোপালও একাধিক জেলে গিয়েছিলেন। যদিও পরে তাঁর মৃত্যু হয়। গোপালের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী পুরসভার ভোটে দাঁড়িয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। পরে অবশ্য তৃণমূলে যোগ দেন। গত জুলাইয়ে বাড়ির সামনে তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিল তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি ছিল, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই গুলি চালানো হয়েছে।
তবে এবার কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সঙ্গেও কোনও যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত তদন্ত করছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।