দক্ষিণেশ্বরে নিজের ফ্ল্যাটে ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দিদি, জামাইবাবু ও তাঁদের এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাপের বাড়ির সম্পত্তি হাতাতে স্বামী ও তাঁর আত্মীয়কে দিয়ে ভাই অপূর্ব ঘোষকে খুন করিয়েছেন দিদি অলক্তিকা দাস। অভিযুক্তদের শনিবার ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - তিলক কেটে আসতে বারণ ছাত্রীকে, তীব্র বিক্ষোভের মুখে সুর নরম মুর্শিদাবাদের স্কুলের
পড়তে থাকুন - বিধানসভার অফিসের কম্পিউটারে চলছে গেম, দিলীপ ঘোষের ‘অভিযান’এ ধরা পড়ল হাতে নাতে
দক্ষিণেশ্বর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ। সিসিটিভিতে ঘটনার দিন ওই বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় জামাইবাবু সুদীপ দাসকে। মোটরসাইকেলের পিছনে ছিলেন সৌরভের মামা সঞ্জীব পাত্র। অলক্তিয়া, সুদীপ ও সঞ্জীব, তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাপের বাড়ির সম্পত্তির দিকে নজর ছিল অলক্তিকা ও তাঁর স্বামীর। ভাইয়ের সঙ্গে এই নিয়ে বিবাদ চলছিল দিদির। সম্প্রতি একটি বিয়েবাড়িতে এই নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। সেখানে ছিলেন অলক্তিকার মামাশ্বশুর সঞ্জীব পাত্রও। এর পরই সৌরভকে খুনের পরিকল্পনা করে ৩ জনে।
ঘটনার দিন প্রথমে মা-কে ফোন করে অলক্তিকা। নিশ্চিত হয়, বাড়িতে ভাই একা রয়েছে কি না। সেই তথ্য সে দেয় স্বামী সুদীপকে। এর পর সুদীপ ও সঞ্জীব মোটরসাইকেলে করে পৌঁছয় কামারগহাটি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে অপূর্বদের বাড়িতে। সেখানে পৌঁছে মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে সৌরভ। সঞ্জীব ভিতরে ঢুকে অপূর্বকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। রাতে বাড়ি ফিরে ঘরে ছেলের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান মা বাবা।
আরও পড়ুন - প্রভাবশালী বিধায়ককে দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিল শাহজাহান, আদালতে জানাল ED
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসরে বচসার জেরে খুন হয়েছেন অপূর্ব। কিন্তু তদন্ত এগোতেই প্রকাশ্যে চলে আসে আসল তথ্য। অভিযুক্তদের শনিবার আদালতে পেশ করে হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। তাদের জেরা করে খুনের অস্ত্র ও অন্যান্য তথ্য পেতে চায় তারা।