রাজ্যে বাড়ছে ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীদের মধ্যে এই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি রাজ্যের ৪৫ জন প্রাণীসম্পদ বিকাশকর্মী ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্র, প্রাণীসেবী এবং কৃত্রিম প্রজনন কর্মীদের মধ্যে এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই সমস্ত কর্মীরা সাধারণত গবাদি পশুদের ভ্যাকসিন দিয়ে থাকেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় সিরিঞ্জ ভেঙে গিয়ে বা ভ্যাকসিন নাকে-মুখে ও চোখে ছিটকে পড়ার ফলে কর্মীরা ব্রুসেলা নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে ৪০০ জন প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারমধ্যে ৪৫ জনের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীদের উপর সমীক্ষা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার।
ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, শিরদাঁড়ায় ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, দুর্বলতা প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাধারণত গবাদিপশু এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। তাদের থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীদের মধ্যে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত নভেম্বরে প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরের দুই কর্মী। আলিপুরদুয়ারে এই সংক্রমণ বেশি বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিরিঞ্জ দেওয়ার সময় কর্মীদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।