বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Brutality on girls for being 'lesbian': একঘরে কেন শুয়েছে ২ তরুণী? ‘সমকামী দাগিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, যৌনাঙ্গে রডের ছ্যাঁকা'

Brutality on girls for being 'lesbian': একঘরে কেন শুয়েছে ২ তরুণী? ‘সমকামী দাগিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, যৌনাঙ্গে রডের ছ্যাঁকা'

দুই তরুণী কেন একইঘরে ঘুমোবেন? তা নিয়ে তিন যুবকের বিরুদ্ধে ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)

পরিবারের দাবি, ওই তরুণীদের ঘরে ঢুকে পড়েছিল তিন যুবক। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই যুবকরা প্রশ্ন করে, কেন দুই তরুণী একঘরে শুয়েছেন? তারপরই ‘সমকামী’-র তকমা দিয়ে তরুণীদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

দুই তরুণী কেন একইঘরে ঘুমোবেন? তা নিয়ে তিন যুবকের বিরুদ্ধে ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল। এক তরুণীর যৌনাঙ্গে গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির।

নির্যাতিতাদের পরিবারের দাবি, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ওই দুই তরুণী অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একসঙ্গে বিড়ি বাঁধার কাজ করেন। মাঝেমধ্যেই একে অপরের বাড়িতে যান। গত ২৫ অক্টোবর বন্ধুর বাড়িতে শুয়েছিলেন এক তরুণী। দু'জনে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকা রাত ১১ টা নাগাদ ওই তরুণীদের ঘরে ঢুকে পড়েছিল তিন যুবক। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই যুবকরা প্রশ্ন করে, কেন দুই তরুণী একঘরে শুয়েছেন? তারপরই ‘সমকামী’-র তকমা দিয়ে তরুণীদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: SC Rape Verdict: ধর্ষণ-খুনে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ৩ জনকে মুক্তি দিল SC, ‘বিচার ব্যবস্থা অন্ধ’, বললেন নির্যাতিতার বাবা

অভিযোগ, দুই তরুণীকে মারধর করে তিন যুবক। তাঁদের পোশাক খুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগের। পরিবারের অভিযোগ, রান্নার গ্যাস জ্বালিয়ে রড গরম করে যুবকরা। তারপর এক তরুণী যৌনাঙ্গ ও পেটে ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, ওই তরুণীর গায়ে মদ ঢেলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে কারও কাছে মুখ খুললে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে পরিবার।

আরও পড়ুন: ‘চরিত্র ভালো না’, তাই ১.৫ লক্ষ টাকায় ধর্ষণের অভিযোগ মিটিয়ে নিতে বললেন TMC বিধায়ক

সূত্রের খবর, যে তরুণীর যৌনাঙ্গ ও পেটে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়, তাঁকে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এক সপ্তাহ পরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারপর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বন্ধ করুন