ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু না সোনা পাচারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রায়ই গরু পাচারকারী অথবা সোনা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে থাকে বিএসএফ। আর এবার সীমান্ত হয়ে মৃত ভাল্লুক ও বাঁদরের দেহ পাচারের চেষ্টা করল পাচারকারীরা। তবে সেই বানচাল করল বিএসএফ। বন্যপ্রাণী আইনে এক পাচারকারীকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার গোবর্ধা বর্ডার পার্টির ১০২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তাকে আটক করে। পরে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ধৃত পাচারকারী বাংলাদেশের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর মৃত্যু, রাতে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা
বিএসএফ সূত্রের খরব, রাতের অন্ধকারে সুযোগ নিয়ে তিনজন বস্তা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে আসছিল। হ্যান্ড হেল্ড থার্মাল ইমেজারে বিএসএফের এক জওয়ান সেই দৃশ্য দেখে বাকি জওয়ানদের সতর্ক করেন। তখন বাকি জওয়ানরা সেখানে পৌঁছে গিয়ে পাচারকারীদের ঘিরে ফেলেন। তবে ওই এলাকাটি কলাবাগান এবং ঘন ফসলে ভর্তি থাকায় দুজন পাচারকারী সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই দুজন বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। আর একজন ভারতের দিকে পালিয়ে আসে। তাকে ধরে ফেলে বিএসএফ।
সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দুটি বস্তা উদ্ধার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই বস্তার ভিতর থেকে এটি ভাল্লুকের বাচ্চার মৃতদেহ একটি বাঁদর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, এই চোরাচালানকারী দলটি বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। ভারতে কোথায় তারা সেগুলি নিয়ে আসছিল? কোথায় বিক্রি করার কথা ছিল? সেই সম্পর্কিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে বরাবরই পাচারের ঘটনা ঘটে। তবে সীমান্তে বন্যপ্রাণী চোরাচালান এর আগেও বহুবার বানচাল করেছে বিএসএফ। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির পরেই সীমান্তে নিরাপত্তা আরও বেড়েছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য জানান, পাচার প্রতিরোধ করার জন্য বিএসএফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএসএফ সীমান্তে অবিরাম নজরদারির মাধ্যমে অবৈধ বন্যপ্রাণী চোরাচালান প্রতিরোধ এবং বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় ভূমিকা নেয়।