বাংলাদেশ সীমান্তে অশান্তি যেন লেগেই আছে। এবার মালদার আরাধাপুর বর্ডার আউট পোস্টের কুটাদহ সীমান্তে এক মহিলা বিএসএফ জওয়ানের ওপর বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বাংলাদেশিরা অনুপ্রেশের চেষ্টা করছিল। সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে মহিলা বিএসএফ জওয়ানের ওপরে। এদিকে ওই মহিলা বিএসএফ জওয়ান গুলি চালান তাদের অনুপ্রবেশ রুখতে। এই আবহে অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে সক্ষম হন বিএসএফ জওয়ান। (আরও পড়ুন: ভারতে ঢুকে বড় বড় গর্ত খুঁড়ছে বাংলাদেশিরা, দেখেই তাড়া গ্রামবাসীদের)
আরও পড়ুন: 'দেহের অবস্থা ভালো না', মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতার বৃদ্ধারও
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে রণতরী থেকে মিসাইল লঞ্চ, মহড়ায় বাংলাদেশের নৌবাহিনী
রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। আরাধাপুর বর্ডার আউট পোস্টের কুটাদহ সীমান্তে ছ’জন অনুপ্রবেশকারীকে হাতে অস্ত্র নিয়ে এগোতে দেখেন বিএসএফের ২ মহিলা জওয়ান। ধারাল অস্ত্র দিয়ে সেই অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ফেলার চেষ্টা করে। তখন সেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ার করতে চিৎকার করে উঠেছিলেন সেই দুই মহিলা জওয়ান। তখন সেই জওয়ানদের ওপর ২ অনুপ্রবেশকারী ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। পরে অনুপ্রবেশকারীরা কাঁটাতারের নীচে অস্ত্র রেখে পালিয়ে যায়। দুষ্কৃীদের লক্ষ্য করে বিএসএফ জওয়ান গুলিও চালিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনায় কোনও অনুপ্রবেশকারী জখম হয়নি বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টের এই কাজে 'অসন্তোষ'… রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের)
আরও পড়ুন: কেন মহাকুম্ভে পদপিষ্ট এত জন? ষড়যন্ত্র কি? বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ যোগীর
আরও পড়ুন: '... নিয়ম নয়', আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
উল্লেখ্য, বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি ওপারের শাসক গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে মালদা সহ একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের গদিতে 'মুখ' পরিবর্তনের পরে তাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যাই হয়ে থাকুক না কেন, আগের সরকারের স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি মানতে বাধ্য তারা।