দুই যুবতীকে পাচারের হাত থেকে বাঁচাল বিএসএফ। বাংলাদেশের যুবতীদের পাচার করার ছক করা হয়েছিল। কিন্তু বিএসএফের তৎপরতায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। একাধিক বাংলাদেশি যুবতীকেই গত কয়েক মাসে পাচার করা হয়েছে বাংলায়। যা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে শেখ হাসিনা প্রশাসনও। এবার বিএসএফ দুই যুবতীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিল। বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত–বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তে ঘটনাটি ঘটেছে।
ঠিক কিভাবে সন্ধান মিলল দুই যুবতীর? বিএসএফ সূত্রে খবর, অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের কাছে প্রথমে খবর আসে। সেই খবরে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে এদেশে দুই যুবতী সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার ওই দুই যুবতীকে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এপারে নিয়ে আসা হচ্ছিল। তারপর বাংলাদেশি এক দালাল ভারতীয় সীমান্ত থেকে তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু দুই যুবতী বাংলাদেশের পরিচয়পত্র নিয়ে সীমান্তে প্রবেশ করতেই ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তখনই তাদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোটা ঘটনা বুঝতে পারে বিএসএফ।
জানা গিয়েছে, এই দুই যুবতীর মধ্যে একজনের বয়স ২১, আর একজনের বয়স ৩৩। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানতে পারা যায়, বাংলাদেশের এক দালাল ভারতে ঢুকতে বলেছিল। তারপর তামিলনাড়ু নিয়ে যাবার কথা ছিল। সেখানে নিয়ে গিয়ে এই দুই যুবতীকে বিক্রি করে দেওয়ার ছক ছিল বলে মনে করছেন বিএসএফ অফিসাররা।
তারপর কী ঘটল যুবতীদের সঙ্গে? বিএসএফ সূত্রে খবর, ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার চন্দ্র শেখর সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাকডাঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। দুই দেশের সীমান্তের আধিকারিকদের মধ্যে রাতে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। সেই বৈঠকের পর দুই যুবতীকে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তবে দালালকে ধরা যায়নি।