অশান্ত বাংলাদেশ। আর তার জেরেই বেড়েছে অনুপ্রবেশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একাধিক অংশ দিয়ে গত কয়েকমাসে বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকার ঘটনা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪) শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সীমান্তের সুরক্ষা আরও আঁটোসাটো করার কঠোর বার্তা দিলেন বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এদিন বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডিজি। জানতে চান - কোথায় কত রক্ষী রয়েছে? কতটা এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেই কাঁটাতারবিহীন অংশগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে কিনা - ইত্যাদি।
বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী আরও খোঁজ নেন - সীমান্তের যে অংশগুলি দিয়ে বেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে, সেই এলাকাগুলিতে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-এর সঙ্গে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে বাড়তি সংযোগ রাখা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়েও। যেমন - ফাঁসিদেওয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও সীমান্তে কাঁটাতারের ঘেরাটোপ নেই। ওই এলাকাগুলিতে দ্রুত কাঁটাতার লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তৃত সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২,২১৭ কিমি। যার মধ্যে ১,৮৪৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা স্থলভাগের অন্তর্ভুক্ত। তথ্য বলছে, এর মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোনও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নেই। আর এই এলাকাগুলিই সবথেকে ভাবাচ্ছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার শিলিগুড়িতে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দলজিৎ সিং চৌধুরী জানান, উত্তরবঙ্গের যে সমস্ত এলাকায় ফেন্সিং নেই, সেই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। এই সময় অনলাইন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এদিন বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই ফুলবাড়ি সীমান্তে বিজিবি আধিকারিকদের পাশে বসিয়ে সীমান্ত রক্ষায় কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। উল্লেখ্য, এদিন উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টের বিভিন্ন বিওপি পরিদর্শনের পর ফুলবাড়ি সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের 'রিট্রিট'-এ যোগ দেন তিনি।
তবে, সীমান্ত সুরক্ষায় কঠোর বার্তা দিলেও এই বিষয়ে আপাতভাবে বিজিবি-র ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএসএফ-এর ডিজি! তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে - 'ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে প্রত্যেকটি এলাকাতেই বিজিবির পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। আমি উত্তরবঙ্গের সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখলাম। সীমান্ত সুরক্ষায় কোনও খামতি নেই। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী সীমান্তের সুরক্ষায় কড়া নজর রাখছে।'