নদিয়ার মাজদিয়ায় আরও বাঙ্কারের খোঁজ পেল বিএসএফ। শনিবার সকালে আরও ১টি বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ৪টি বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়া গেল।
শনিবার সকালে মাজদিয়ার একটি কলা বাগানের মধ্যে আরও ১টি বাঙ্কারের খোঁজ মেলে। গর্ত করে লোহার ট্যাঙ্ক পুঁতে তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কারটি। বাঙ্কারের মুখে বিছানো ছিল প্লাস্টিকের শিট। যাতে দূর থেকে দেখে সেখানে যে বাঙ্কার রয়েছে তা বোঝার উপায় ছিল না। ওদিকে বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে জেনে এদিন সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা।
প্রাথমিকভাবে বিএসএফের অনুমান, এই বাঙ্কারগুলিকে ফেন্সিডিল পাচারের কাছে ব্যবহার করত পাচারকারীরা। তবে এর বেশ কয়েকটি মানুষ থাকত বলেও অনুমান তাদের। এমনকী মানবপাচার ও অস্ত্রপাচারেও বাঙ্কারগুলিকে ব্যবহার করা হত বলে অনুমান।
এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মাজদিয়ায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে ৪টি বাঙ্কারের সন্ধান পাওয়া গেল। তার মধ্যে অন্তত ১টি বাঙ্কারে পাওয়া গিয়ে পেটি পেটি কাশির ওষুধ। বাঙ্কারগুলির কয়েকটি টিনের ঘর দিয়ে ঘেরা। কোনওটি কলা বাগানের মধ্যে তো কোনওটি আবার কলেজ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মাজদিয়া থেকে বাংলাদেশের টুঙ্গি সীমান্তের দূরত্ব মেরে কেটে ৪ কিলোমিটার। কৃষ্ণনগর সেক্টরের এই এলাকায় বিস্তীর্ণ কাঁটাতারহীন সীমান্ত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে সেখান দিয়েই চলে পাচার। মূলত কাশির ওষুধ পাচার হয় সেখান দিয়ে। তবে অন্যন্য জিনিস পাচারেও অরুচি নেই দুষ্কৃতীদের।
একের পর এক বাঙ্কারের সন্ধান মেলায় প্রশ্ন উঠছে, এব্যাপারে কি কিছুই জানত না রাজ্য পুলিশ। না কি সব জেনেও চুপ ছিল তারা?