আবার বিএসএফ–কে গুলি চালাতে হল। কারণ বাংলাদেশ থেকে এদেশে পাচারের ছক কষা হয়েছিল। তাই বিএসএফ গুলি চালালে জখম হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারী। বুধবার গভীর রাতে গুলি চলে মালদহের হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নাঙলডাঙ্গা এবং ইটাঘাঁটি গ্রামের মাঝে। জখম ওই পাচারকারীকে আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ওই যুবক ইউসুফ আহমেদ। সে বাংলাদেশের গোমস্তাপুর থানার রুকুন্দিপুর গ্রামের বাসিন্দা। গভীর রাতে পাচারকারীরা এখানে পাচারের ছক কষেছিল। তখন তাদের তাড়া করা হয়। কিন্তু তারপরও পাচারের চেষ্টা করলে গুলি চালাতে বাধ্য হতে হয়। তখন ওই যুবকের বাঁ পায়ে গুলি লাগে। এমনকী অভিযোগ, পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল ছোঁড়ে। বিএসএফ পালটা গুলি চালালে পাচারকারী ইউসুফ আহমেদ জখম হয়। বাকিরা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
ডিসেম্বর মাসের কড়া শীত পড়তেই এই পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২২ ডিসেম্বরও বিএসএফ–কে গুলি ছুঁড়তে হয়। তাতে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়। কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে চার পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছিল। এবার মালদহে গুলিবিদ্ধ হল বাংলাদেশি পাচারকারী। একের পর এক এই ঘটনা ঘটায় তা রুখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিএসএফ।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হয়। তাঁরা ৫০ কিমি পর্যন্ত ঢুকতে পারবে। এমনকী ধরপাকড়, তল্লাশি থেকে গ্রেফতার সবই করতে পারবে। এই নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদ শুরু হয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়ে নালিশ ঠুকেছিলেন।