মা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন। আর মেয়ে থাকে বাংলাদেশে। খবর পেলেও আসার সমস্যা ছিল। কারণ মেয়ের পাসপোর্ট নেই। বৈধ পথে ভারতে প্রবেশ সম্ভব নয়। তাই চোরাপথেই ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন মেয়ে। কিন্তু সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর শাশুড়িও। তবে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ ঘটলেও মানবিক কারণে ওই মেয়ে এবং শাশুড়িকে বাংলাদেশে ফেরাল বিএসএফ। শুক্রবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল বাগদার জিৎপুর সীমান্ত।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? জানা গিয়েছে, মেয়ের নাম শুলি বারোই। বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। তাঁর মা কল্পনা বিশ্বাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথমে বাংলাদেশেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, সুস্থ হচ্ছিলেন না। তাই উন্নত চিকিৎসার আশায় কল্পনাদেবী ছ’মাস আগে ভারতে আসেন। তারপর এদেশেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে এদিন শুলি বারোই তাঁর শাশুড়িকে নিয়ে ভারতে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। আর অবৈধ পথে আসতে গিয়েই পড়েন ধরা। তাঁদের বিজিবি’র (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠিক কী জানাচ্ছে বিএসএফ? বিএসএফ সূত্রে খবর, তাঁরা অবৈধ পথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েন। কিন্তু বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাঁদের ধরে ফেলে। দু’জনকেই আটক করা হয়। বিএসএফ তাঁদের বক্তব্য খতিয়ে দেখে। তারপর তাঁদের বাংলাদেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। বিজিবি’কে খবর দেওয়া হয়। আর নিরাপদে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঠিক কী বলছেন বিএসএফ অফিসার? বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার যোগিন্দর আগরওয়াল বলেন, ‘ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। যাঁদের আটক করা হয়েছিল, তাঁদের বক্তব্য বিবেচনা করে মানবিক কারণে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় তাঁদের হস্তান্তর করা হয়েছে।’