নৈরাজ্যের বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় এবার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক করল বিএসএফ। বুধবার সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে গিয়ে অনুপ্রবেশ রুখতে গ্রামবাসীদের কী করণীয় তা বুঝিয়ে বলেন বিএসএফ আধিকারিকরা। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কোনও প্রভাব সীমান্তের এপারে পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও পুলিশের পাহারায় নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - ওখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে প্রতিক্রিয়া হতে পারে: দিলীপ ঘোষ
পড়তে থাকুন - বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার: VHP
উত্তরবঙ্গের ফুলবাড়ি সীমান্তে সরদারপাড়া, ধদাগছ, লক্ষ্মীস্থান, নারায়ণজোতসহ প্রায় ১২টি সীমান্তবর্তী গ্রাম রয়েছে। সেখান থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বিএসএফ। এব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বুধবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেখানে গ্রামবাসীদের তাঁরা বলেন, অচেনা কাউকে গ্রামে দেখলে বিএসএফ বা পুলিশকে জানাবেন। রাতে খুব দরকার হলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। আর বেরোলেও সীমান্তের কাটাতারের দিকে যাবেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের পাহারায় সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন তাঁরা। বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশ মেনে তারা রাতে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করবেন। অচেনা মানুষ দেখলে জওয়ানদের জানাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - আমিষ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, ঘোষণা করে কারণ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
সোমবার বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চূড়ান্ত নৈরাজ্য শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিদায়ী শাসকদল আওয়ামি লিগ ও হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলছে সীমান্তের ওপারে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বিএসএফ জওয়ান। তবে তাতেও জল – জঙ্গলে ভরা সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। টহলদারির পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়াচ্ছে বিএসএফ।