এই রাজ্য থেকে বাংলাদেশে বহ সামগ্রী পাঠানো হয়। আর তা যায় পণ্যবাহী ট্রাক–লরিতে। কিন্তু ইদানিং সীমান্তে বেশ কয়েকজন চালকদের থেকে মিলেছে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এই সংখ্যাটা একশো পেরিয়েছে বলে খবর। এই কারণে দেশের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে বিএসএফ। তাই এই খবর দেওয়া হয়েছে শুল্ক দফতরকে। আর চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, এই লাইসেন্স পরীক্ষা করেই চালকদের ‘পাস’ দেওয়া হোক।
এই জাল লাইসেন্স নিয়ে নাশকতা করতে পারে কোনও চালক। এই সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বিএসএফ। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই জাল লাইসেন্সের সাহায্যে বেশ কিছু চালক সোনা, মাদক–সহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করছে। সুতরাং ট্রাকে করে জঙ্গিরা এই দেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার পর কপালে ভাঁজ পড়েছে শুল্ক দফতরের কর্তাদের।
এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গের বিএসএফের আইজি অনুরাগ গর্গ জানান, রোজদিন উত্তর ২৪ পরগনা পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বহু ভারতীয় ট্রাক বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে যায়। তাই ট্রাক চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে পাস দেয় শুল্ক দফতর। এখানে একশোরও বেশি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ভুয়ো। তাতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই বিএসএফের পক্ষ থেকে শুল্ক দফতরকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। পাস ইস্যুর কথা বলা হয়েছে।
বিএসএফ জানুয়ারি মাসেই ৯০ জন পণ্যবাহী গাড়ি চালককে ধরেছেন। যাঁদের ভুয়ো লাইসেন্স রয়েছে। ২০২১ সালে ২,০৩৬ জন বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারীকে ধরা হয়। মানব পাচারে ৮৪ জন দালালকে ধরা হয়। এছাড়া মাদক–সহ নানা চোরাচালান রোজই ধরা পড়ছে। এদের মধ্যে ভুয়ো লাইসেন্স ট্রাক চালকদের একটা বড় অংশ রয়েছে বলে দাবি বিএসএফের।